Wednesday, December 4, 2024
বাড়িচাঁপাইনবাবগঞ্জশিবগঞ্জএসএসসিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় মেয়েদের মধ্যে সেরা পুষ্পা।

এসএসসিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় মেয়েদের মধ্যে সেরা পুষ্পা।

মোঃ সিফাত রানা

১২৬৬ নম্বর পেয়ে মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলার মেয়ে পুষ্পা।

এসএসসিতে ১২৬৬ নম্বর পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম পুষ্পা। সদ্য ঘোষিত এসএসসি পরীক্ষার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ফলাফলে ১২৬৬ নম্বর পেয়ে মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন শিবগঞ্জের মেয়ে মোসাঃ আয়েশা মহিমা পুষ্পা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর-বাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ারুল ইসলামের মেয়ে পুষ্পা। শিবগঞ্জের ফ্রিডম স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকল বিষয়ে এ প্লাস পেয়ে ঊত্তীর্ণ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৬৬ নম্বর পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন।

ফ্রিডম স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২৪ এ ৮৯ জন শিক্ষার্থী এস,এস,সি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ৮৯ জন শিক্ষার্থী সফলভাবে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে (পাসের হার ১০০%)। প্রতিষ্ঠানটিতে ৩১ জন এ প্লাস (জিপিএ ফাইভ) পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ১২৬৬ পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান ও সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন পুষ্পা ।

ফ্রিডম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সজিব আহমেদ ও পুষ্পার বাবা আনোয়ারুল ইসলামের দেও সাক্ষাৎকারে জানা গিয়েছে, আয়েশা মহিমা পুষ্পা শিবগঞ্জের সান ফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্টেন থেকে প্রাথমিকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন। সে সময় তিনি ৬০০ নম্বরের মধ্যে ৫৮৮ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় উপজেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় হন। করোনা মহামারির কারণে ৮ম শ্রেণীর জেএসসি পরীক্ষা দেয়া হয়নি।

পুষ্পার মা একজন গৃহিণী। তারা দুই ভাইবোন। তার ভাই ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অনার্সের ছাত্র। পুষ্পা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। তার ইচ্ছা একজন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার।

এমন ভালো ফলাফলের পেছনের কারণ জানতে চাইলে পুষ্পা বলেন: মা-বাবার অনুপ্রেরণা, শিক্ষকদের পাঠদান আর নিজের পরিশ্রমই তাকে এই ফলাফল এনে দিয়েছে। তিনি বলেন ঘড়ির ঘণ্টা ধরে পড়া হতো না, তবে পড়া শেষ না করে উঠতাম না। সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন মেধাবী পুষ্পা।

সম্পরকিত খবর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -
Google search engine

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সর্বশেষ মতামত