আবদুল্লাহ মানিক (কুয়াকাটা,কলাপাড়া) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একটি হাসপাতালে নার্স দিয়ে সন্তান প্রসব করার সময় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের দাবি, নার্স দিয়ে সন্তান প্রসব করানোর কারণেই নবজাতকটি মারা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে উপজেলার মহিপুর বাজারে কেয়ার মডেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মহিপুর সদর থানার বিপিনপুর গ্রামের আনোয়ারের স্ত্রী শারমিন বেগমের (৩৩) প্রসব বেদনা উঠলে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তাকে মহিপুর বাজারে কেয়ার মডেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় পারভিন নামে এক আয়া রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। তখন হাসপাতালের নার্স মানসুরা স্বাভাবিক ভাবে নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন করেন। ডেলিভারি করার পূর্বেই নবজাতকটি মারা যায়।
এরপর চিকিৎসককে ফোন করা হলে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হাসপাতালটিতে প্রসূতি বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও সে সময় কোনো চিকিৎসক ছিল না।
রোগীর স্বজনরা জানান, সকাল ৬টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন শারমিন। পরে বেলা সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত সন্তান প্রসব করান উপস্থিত নার্সরা। এর আগে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আলট্রাসনোগ্রাফিতে বাচ্চা সুস্থ ও সবল দেখা যায়।
নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে শারমিনের মা বলেন, কেয়ার মডেল হাসপাতালে আসলে রোগীর ব্যথা কমানোর জন্য তাকে স্যালাইন এবং বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়। এরপর সকালে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার আনুমানিক আধাঘণ্টা পর নবজাতকের মরদেহ আমাদের সামনে নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবজাতকের মা খাদিজা বেগম বলেন, এখানে আসার পর থেকেই হাসপাতালের লোকজন আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাদের গাফিলতির কারণে আমাদের বাচ্চা মারা গেছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে কেয়ার মডেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা গিয়েছিল যে বাচ্চা সুস্থ ও সবল আছে। এ কারণে উপস্থিত নার্স স্বাভাবিক ভাবে নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন করেছে। এ জন্য কোনো চিকিৎসকের প্রয়োজন হয়নি।
মহিপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।