নাচোল ডায়াবেটিক সমিতির সঙ্গে ঢাকাস্থ্য নাচোল সমিতির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় 

আবুল হোসেন,নাচোল,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে, গত বৃহস্পতিবার, ২০ই জুন,ডায়াবেটিক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, ঢাকাস্থ্য নাচোল সমিতি ও নাচোল অলেমা চাঁদ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আতাউর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নাচোল ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি, সাংবাদিক আব্দুস সাত্তার ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক, শহিদুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, আলাউদ্দিন আহমেদ বটু, সমিতির চিকিৎসক ডাক্তার আব্দুর রব সিদ্দিক সোহাগ। ঢাকাস্থ্য নাচোল সমিতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং নাচোল ডায়াবেটিক সমিতির আজীবন সদস্য জাহাঙ্গীর কবির সিদ্দিক নয়ন। ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের পূর্বে নাচোল ডায়াবেটিক সমিতির পক্ষ থেকে  ঢাকাস্থ্য নাচোল সমিতির সভাপতিকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন, ২০১৭ সালে গুটি কয়েক ব্যক্তির উদ্যোগে নাচোল পৌরসভা সংলগ্ন একটি বাসা বাড়ির ২টি রুম ভাড়া নিয়ে ডায়াবেটিক সমিতির কার্যক্রম শুরু করা হয়। এর মধ্যে ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম অন্যতম। 
এই সমিতিতে চিকিৎসকের ফি ছাড়াই বিনামূল্যে ডায়াবেটিস রোগীসহ অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছে। প্রতিমাসে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২’শ ডায়াবেটিস রোগীর চিকিৎসা  দেয়া হয়। এসব রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিরা রয়েছে।এ সমিতিকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে নাচোলের সর্বস্তরের মানুষের এবং ঢাকাস্থ্য নাচোল সমিতির পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা  কামনা করেন। 
ঢাকাস্থ্য নাচোল সমিতি ও নাচোল অলেমা চাঁদ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আতাউর রহমান, ডায়াবেটিক সমিতির প্যাথলজি বিভাগ, চিকিৎসকের চেম্বার, রক্ত গ্রহণ পদ্ধতিসহ ডায়াবেটিস রোগীদের সেবা দান পদ্ধতি পরিদর্শন করেন এবং সমিতির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন। পরে তিনি অফিস কক্ষে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা মতবিনিময় করেন। সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আতাউর রহমান নাচোল ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগী ব্যক্তিদের  প্রশংসা করে বলেন, নাচোলে একটি ডায়াবেটিক সমিতির প্রয়োজন ছিল এবং সেটি পূরণ হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস রোগী। এসব অঞ্চলের ডায়াবেটিস রোগীদের কষ্ট করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর অথবা রাজশাহী চিকিৎসা নিতে যেতে হতো। সেটা বর্তমানে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিতে পারছে। তিনি নাচোল বাসিকে তথা এই ডায়াবেটিক সমিতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্তই করেন। এছাড়া ডায়াবেটিক সমিতির পরিবেশ ও কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তিনি সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *