সিপিএসসি, র‌্যাব-৫, রাজশাহী কর্তৃক অপহৃত ০১ জন ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরণকারী মূলহোতাসহ এজাহার নামীয় ০২ জন আসামী গ্রেফতার।

নিজস্ব প্রতিবেদক

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ছিনতাইকারী, ধর্ষণকারী, খুনি, প্রতারক ও হ্যাকারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ধৃত ০১ নং আসামী মোঃ আকাশ হোসেন @ বিপ্লব একজন কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও মাদক ব্যবসায়ী। সে তার এলাকায় মাদক ব্যবসার পাশাপাশি একজন ভয়ংকর নারী লিপ্সু ও দুর্ধর্ষ প্রকৃতির। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্দে যৌন নিপীড়ন ও মাদক ব্যবসার অপরাধে তার সংশ্লিষ্ট থানায় ০২ টি নিয়মিত মামলা রুজু হয় এবং সে একাধিকবার গ্রেফতার হয়। মামলা ০২ টি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। ভিকটিম মোসাঃ মেহেরুন নেগার নীহা (১৬) তার নানার বাড়ীতে থেকে সতীহাটি কে, টি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেনীতে পড়াশুনার সুবাদে যাতায়াত কালীন ১নং আসামীর বদ নজরে পড়ে যায়। ১নং আসামী তার লালসা চরিতার্থ করণের উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে রাস্তাঘাটে উত্যক্তসহ অবৈধ প্রেম নিবেদন করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভিকটিম তার পিতা-মাতাকে ১নং আসামীর অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিষয়ে জানালে ভিকটিমের পিতা তার মেয়েকে উত্যক্তসহ অবৈধ প্রেম নিবেদন করতে নিষেধ করলেও উক্ত ১নং আসামী তাতে কর্ণপাত না করে বরং তার লালসার স্বীকার বানানোর জন্য ভিকটিমের বড় ধরনের ক্ষতির পায়তারা করতে থাকে। ১নং আসামী মোঃ আকাশ হোসেন @ বিপ্লব (৩২) দুর্ধর্ষ প্রকৃতির হওয়ায় নিরুপায় হয়ে ভিকটিমের পিতা-মাতা ও পরিবারের লোকজন ভিকটিমকেই সাবধানে চলাফেরা করতে বলে। ভিকটিম ঈদ-উল-ফিতর উৎযাপনের লক্ষ্যে বাড়িতে আসে এবং যথারীতি নিজ বাড়ীতে অবস্থান করতে থাকে। এদিকে ১নং আসামী হীনস্বার্থ চরিতার্থ করণের জন্য গোপনে ভিকটিমের বাড়ীর আশে পাশে সংগোপনে পর্যবেক্ষন করতে থাকে। ঘটনার দিন গত-০৪/০৫/২০২৪ তারিখ রাত্রী অনুমান-০৯.১০ ঘটিকার সময় বাদীর বাড়ীতে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ভিকটিম ঘটনাস্থল বর্নিত পাঁকা রাস্তার উপর হাঁটতে গেলে সেখানে পূর্বেই ওঁৎ পেতে থাকা এজাহারনামীয় ১নং আসামী ও তার সহযোগী অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় ভিকটিম মোসাঃ মেহেরুন নেগার নীহা (১৬)‘কে জোর পূর্বক এজাহারনামীয় ২নং আসামীর মোটর সাইকেলে তুলিয়া অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা আনোয়ার হোসেন ভিকটিমকে সন্ধান করে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অপহরণ ও সহায়তার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ০৪ জন আসামীর বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় ০১টি মামলা দায়ের করেন। মহাদেবপুর থানার তদন্তকারী অফিসার অপহরণ মামলার নিখোঁজ ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে র‌্যাব অফিসে রিকুইজিশন দিলে র‌্যাবের গোয়েন্দ দল গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। একপর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম ও অপহরণকারী এজাহারনামীয় ০১ নং আসামী ও ০৪ নং আসামীর অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। একপর্যায়ে অদ্য ১৪-০৫-২০২৪ তারিখ বিকাল ১৭.৩০ ঘটিকায় রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানাধীন বহরমপুর এলাকা হতে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং এজাহারনামীয় ০১ নং ও ০৪ নং এজাহারনামীয় আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করে। উক্ত ভিকটিম ও অপহরণকারী এজাহারনামীয় আসামীদ্বয়কে মহাদেবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।