পাভেল ইসলাম মিমুল স্টাফ রিপোর্টার :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে লক্ষ্যে শিশুশ্রম নিরসনের কোনও বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
পাশাপাশি শিশুদের সুশিক্ষিত করে দক্ষ কারিগরে রূপান্তরিত করতে হবে। এই কর্মযজ্ঞ সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়,সবার সহায়তায় এ কাজ করতে হবে। শিশুদের পিছিয়ে রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা অসম্ভব।তাই সবাইকে শিশুশ্রম নিরসনে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্মশালায় শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘শিশুশ্রম নিরসন একটি পাইলট প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক বছরের মধ্যে রাজশাহীকে শিশুশ্রম মুক্ত করা হবে। স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে গেছেন এবং তারই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থায় বাংলাদেশ সদস্য পদ লাভ করে।
শিশুদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে জাতীয় শিশুনীতি প্রণয়ন করেন। তারই ধারাবাহিতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুশ্রম নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করছেন। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে ৪৩টি সেক্টরকে ঝূঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করার জন্য আইন পাস করেছে।
কর্মশালায় বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন,শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব আলম,শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম,শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম,কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক মো. আবদুর রহিম খান,অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার আক্তার জামীল,জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ,পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম,ইউনিসেফ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের চীফ ফিল্ড অফিসার এএইচ তৌফিক আহমেদ।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন,শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহা. হাজেরা খাতুন।
শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন,জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রাজশাহীর উপমহাপরিদর্শক আবদুল কাইউম।
প্রত্যাহারকৃত শিশুদের কার্যকর রেফারেল পদ্ধতি উপস্থাপন করেন,চাইল্ড প্রোটেকশান অফিসার ফাতেমা খায়রুন্নাহার। এছাড়াও শ্রম পরিস্থিতি ও আইনগত ভিত্তি উপস্থাপন করেন,কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক আবদুর রহিম খান।