আবদুল্লাহ মানিক (কুয়াকাটা কলাপাড়া) প্রতিনিধি :
প্রতি ঘণ্টায় ২২ কিলোমিটার করে সোজা উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ রেমাল। আজ সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়ার পর এর গতি বেড়ে গেছে। এর আগে প্রতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হলেও আজ সকাল ৬টার পর থেকে এর গতি বেড়ে গেছে। গত ৬ ঘণ্টায় গভীর নিম্নচাপটি ১৩৫ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। ঘণ্টা হিসেবে গতি পাওয়া যায় ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ৭ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করে সোজা উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। গভীর নিম্নচাপটি আজ শনিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
সকাল ৬টায় ছিল চট্টগ্রাম থেকে ৬৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ও পায়রা থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচেছ। নিম্নচাপ কেন্দ্রের মধ্যে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে কখন রূপ নিতে পারে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ রাত ৯টায় হয়তো ঘূর্ণিঝড় আকারে ঘোষণা দেয়া হতে পারে।’
ঝড়টি কোন দিক দিয়ে উপকূলে আঘাত করতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন বলেন ‘ঝড়টি এখন সোজা উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর সেই হিসেবে তা পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
ঝড়ের গতি কেমন হতে পারে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও কোনো এলাকার ওপর দিয়ে কেমন গতি নিয়ে অতিক্রম করবে সে বিষয়ে কথা বলার এখনও সময় আসে নি। উপকূলের কাছাকাছি এলে অনেক সময় গতি বেড়ে যায়, আবার কমেও যায়। তাই আঘাতের স্থান নিয়ে এখনই চূড়ান্ত করে কিছু বলার সময় হয়নি।’
এদিকে ২০০৯ সালের ২৫ মে উপকূলে আঘাত করা ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’ও একই ধারায় উত্তরে অগ্রসর হয়ে উপকূলে আঘাত করেছিল। তবে আইলা সোজা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর আঘাত করেছিল আর এবাবের ঝড়টি সোজা অগ্রসর হয়ে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার উপর দিয়ে অতিক্রম করার কথা।