উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয়ধাপে গাইবান্ধার ৩ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন (সদর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ) মঙ্গলবার (২১ মে) অবাধ-সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ৩ উপজেলার ৪১৮টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভোটগ্রহণ শেষে রাতে প্রাথমিক বেসরকারি ফলা-ফল ঘোষনা করা হয়। ঘোষনা মতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আমিনুর জামান রিংকু দোয়াত কলম প্রতীকে ৫৪ হাজার ৭'শ ৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইস্তেকুর রহমান সরকার কাপ পিরিচ পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯'শ ৪৪ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে রফিকুল ইসলাম মিলন চশমা প্রতীকে ৩৭ হাজার ৩'শ ৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফুল ইসলাম (সনজু) টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার
৩'শ ৪২ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোর্শেদা বেগম পদ্মফুল প্রতীকে ৯৯ হাজার ৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিল্পী খাতুন প্রজাপতি প্রতীকে ১৫ হাজার ২'শ ৯৪ ভোট পেয়েছেন।
পলাশবাড়ী উপজেলায় আলহাজ্ব একেএমে মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ মোটর সাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ৫’শ ৯৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৪ ভোট। আবু ফরহাদ মন্ডল তালা প্রতীকে ২৪ হাজার ৩’শ ৬ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এএসএম রফিকুল ইসলাম মন্ডল রিপন টিউবওয়েল প্রতীকে ২০ হাজার ৭’শ ৮৪ ভোট। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম ২১ হাজার ৯’শ ৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রিক্তা বেগম পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮’শ ৬৭ ভোট।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে শাকিল আলম আনারস প্রতীকে ৯১হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল লতিফ প্রধান মোটরসাইকেল প্রতীকে ৮২ হাজার ৪৫ ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আঃ মতিন মোল্লা চশমা প্রতীকে ৬৫ হাজার ৯'শ ৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফুল ইসলাম সরকার মাইক প্রতীকে ৫৭ হাজার ৫'শ ৩৭ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাপিয়া রানী দাস সেলাইমেশিন
প্রতীকে ৪৫ হাজার ২'শ ১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উম্মেজাহান প্রজাতি প্রতীকে ৩৪ হাজার ৫২ ভোট পেয়েছেন।
৩ উপজেলার ৪১৮টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এই ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। এছাড়া নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার সাথে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং স্ট্রাইকিং ফোর্সকে দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য ৪৫ জন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন।