আহসান হাবীব, (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আঞ্চলিক রাস্তার দু’পাশে ৪ ফুট করে সম্প্রসারণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর-কানসাট ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশে ৪ ফুট করে ৮ ফুট রাস্তা সম্প্রসারণের দরপত্র প্রকাশ করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এই রাস্তার দরপত্র প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র কন্ট্রাকশন। ৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে সম্প্রসারিত হতে যাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম রাস্তা কাজটি করাচ্ছেন। এই রাস্তার সম্প্রসারণের কাজের মেয়াদ রয়েছে এক বছর।
অভিযোগ উঠেছে, রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য ১ নম্বর ইট ব্যবহারের সময় ২ ও ৩ নং ইটও ব্যবহার করছেন। তবে, তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করছেন বলে জানান।
অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ছাবের আলীর দাবি, রাস্তার কাজ নিয়মানুযায়ী হতে হবে। কোন ধরনের অনিয়ম করা যাবে না, এমনটি তা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তা সম্প্রসারণের কাজে ব্যবহৃত ১ নং এর পাশাপাশি ২, ৩ নং ইটের খোঁয়া ব্যবহার করছেন। এছাড়া গোটা ইট দিয়ে খোঁয়া করার কথা থাকলেও তা পুরো ভাঙাড়ি ইট দিয়ে খোঁয়া করা হচ্ছে। এমনকি নিম্নমানে ইট দিয়ে খোঁয়া তৈরি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তৌফিকুল ইসলামের নিজস্ব ইটভাটা থেকে আসছে এসব ইট। একদিকে ঠিকাদারী ব্যবসা লাভবান অন্যদিকে নিজস্ব ইটভাটা থেকে নিম্নমানে ইট দিয়ে সরকারের কাজে লাগিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র কন্ট্রাকশন পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, অফিস থেকে আমাকে যেভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে আমি ঠিক সেইভাবে কাজ করছি। তিনি আরো বলেন, ধানের ভিতরে যেমন পাতান থাকে ঠিক ১ নং ইটের ভিতরে নিম্নমানের ইট থাকতেই পারে।
এদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ ছাবের আলী বলেন, ঈদের ছুটির কারণে আমরা প্রকল্পগুলো দেখতে যেতে পারিনি। আপনার তথ্য দিয়েন, বিষয়টি সরজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।