আল আমিন মিলন,আত্রাই,প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাইয়ে তীব্র গরম, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। মাথায় জাতীয় পতাকা, গলায় পরিচয়পত্র নিয়ে ট্রাফিক সিগন্যালে ঘাম ঝরাচ্ছেন তারা।
তাদের বাঁশি আর হাতের ইশারায় চলছে উপজেলার সব যানবাহন। পাশাপাশি সড়কে বাস, মাইক্রো, মোটরসাইকেল ও রিকশার জন্য লেন ভাগ করে দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। ফলে যেখানে-সেখানে থামতে পারছে না গাড়ি। উল্টো পথে চলার কোনো সুযোগ নেই। হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চলা বন্ধ প্রায়। লাইন ভেঙে তাড়াহুড়ো করে সামনে যাওয়ার তাড়া নেই চালকদেরও। পথচারীরা রাস্তা পার হচ্ছেন শৃঙ্খলা মেনে। রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা গেছে নওগাঁর আত্রাই সদরের বিভিন্ন সড়কে। সড়কে তাদের শক্ত অবস্থানের কারণে ফিরেছে শৃঙ্খলা। শিক্ষার্থীদের এমন ভূমিকায় উচ্ছাসিত সবাই।
উপজেলা সদরের মেইন সড়কের কোথাও অকারণে দাঁড়াতে পারেনি কোনো গণপরিবহন। গাড়ি চালকদের আজীবনের অভ্যাস এক দিনে বদলে যেতে দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন উপজেলাবাসী।
উপজেলার রেলগেট বিহারিপুর এলাকায় দায়িত্বরত রাজশাহী পুলিশ লাইনস স্কুল এ্যাড কলেজের শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি তাতে আমরা ছাত্ররা ছাড়া সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় এজন্যই আমরা রাস্তায় ট্রাইফিকের দ্বায়িত্ব পালন করছি। আমরা কোন রাজনৈতিক দল থেকে আসিনি, আমরা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সময়কার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শিক্ষার্থী মেহেদি বলেন, ছাত্রদের দ্বারা সোনার বাংলা গড়া সম্ভব। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করেছি।
শিক্ষার্থীদের এমন কাজে উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে চালকরা বেশি খুশি। অন্যান্য সময় রাস্তায় বের হলেই ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন ঝামেলা করত। গত দু’দিন ধরে সেই ধরনের জটিলতায় পড়তে হয়নি।
আত্রাই মোল্লা আজাদ মেমোরিয়াল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শাহরিয়ার নাদিম বলেন, একজন ট্রাফিক যেভাবে সড়কে দায়িত্ব পালন করতেন, তারাও চেষ্টা করছেন। তবে সড়কের নীতিগুলো অনুসরণের বিষয়গুলো দেখছেন তারা। মোটরসাইকেলে দু’জনের বেশি বসতে দেখলে জীবনের ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন হওয়ার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে অন্তত একজনকে নেমে যাওয়ার অনুরোধ করছেন।