Sunday, December 22, 2024
বাড়িচাঁপাইনবাবগঞ্জগোমস্তাপুরইজ্জতের মূল্য তিন লাখ টাকা

ইজ্জতের মূল্য তিন লাখ টাকা


চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে পরকিয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা খেয়ে রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে তিন লাখ টাকা খোয়ালেন প্রবাসী যুবক। মঙ্গলবার(১৪মে) দুপুরে রহনপুর তদন্ত কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান,একজন পুলিশের এএসআই, ছেলে  ও মেয়ে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে তিন লাখ টাকাতে এ রফাদফা হয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার (১৩ মে) রাতে বাংগাবাড়ি ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মৃত বজলু রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ(৩৪) ও আলিনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মিষ্টু আলীর স্ত্রীর(৩০) সাথে পরকিয়া করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ধরে ফেলে। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে ওই প্রবাসী যুবককে আটক করে রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। পরদিন মঙ্গলবার(১৪ মে) দুপুরে বাংগাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও আলিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মাসুম ও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আব্দুল মালেকের উপস্থিতিতে সালিশের নামে ছেলে পক্ষকে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করে রফাদফা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সালিশে উপস্থিত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এএসআই আব্দুল মালেক বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে দুই চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মুচলেকা নিয়ে ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যদি কিছু হয়ে থাকে তবে তাদের মধ্যে হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই (উপ-পরিদর্শক) আরেফিন বলেন, গতকাল রাতে আলিনগরে একটি বড় ধরনের ঝামেলা হচ্ছিল। আমি ওসি স্যারের নির্দেশে সেখানে গিয়ে একজন আসামিকে ধরে এনে তদন্ত কেন্দ্রে রাখি। আজকে আমি চঁাপাইনবাবগঞ্জে ছিলাম। এরপরে কি হয়েছে তা আমি জানিনা।

আলিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মাসুম বলেন, টাকা লেনদেনের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আর সালিশে আমি ছিলামও না। এর আগেও মেয়ে এবং ছেলে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকালকে মেয়ের ইচ্ছেতে তার স্বামীকে তালাক দিয়েছে। আজকে ফঁাড়িতে এ ঘটনার মীমাংসা হয়েছে। আমাকে ফঁাড়িতে ডাকা হয়েছিল। সেখানে গিয়ে আমি শুধু কাগজে স্বাক্ষর করে চলে এসেছি। তবে বাংগাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় গোমস্তাপুর থানার ওসি চৌধুরী জুবায়ের আহম্মেদের সাথে। তিনি বলেন, আলিনগরে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটা ঝামেলা চলছিল। জনতা উত্তেজিত হয়ে বড় ধরনের ঝামেলার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছিল। সেখানে আমি ফোর্স পাঠিয়েছিলাম। সেখান থেকে ওই ছেলেকে আটক করে আনা হয়েছিল। তারপরে মুচলেকা নিয়ে তাকে আজকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুইজনেই বিবাহিত যার কারণে তারা অভিযোগ দিতে চাইনি। কেউ যদি অভিযোগ দেই। তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব। আর টাকা লেনদেনের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

সম্পরকিত খবর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -
Google search engine

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সর্বশেষ মতামত