আল আমিন মিলন, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
একটানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ছোট যমুনা, আত্রাই ও অন্যান্য নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে আত্রাই নদীর মান্দা উপজেলার জোতবাজার পয়েন্ট ছাড়া সকল পয়েন্টে পানি বিপদসীমার অনেক নীচে অবস্থান করছে। তবে গত বুধবার (১০জুলাই) থেকে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। জানা যায়, আশির দশকে আত্রাই নদীর পাশ দিয়ে বিদ্যমান বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মিত হয়। অনেক পুরাতন হওয়ায় সহজেই বাঁধগুলোতে শিয়াল, বেজি এবং ইদুর গর্ত করে থাকে। যেকারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেই সেই গর্তের মাধ্যমে লিকেজ হয়ে সেখান দিয়ে পানি চলাচল করায় অনেক সময় বাঁধে ধ্বস দেখা দেয়।
এবার নওগঁ-৬ আসনের সাংসদ অ্যাড. ওমর ফারুক সুমন এর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী লিকেজ কিংবা ধ্বসে যাওয়া স্থানগুলো দিয়ে পানি চলাচল করতে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড তা বন্ধ করেন। ফলে দুই উপজেলার শত শত গ্রাম ও ফসল বন্যা কবলিত হবার হাত থেকে রক্ষা পায়। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এমপি সপ্তাহ ধরে রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ্টি প্রকাশ করেন।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন, আত্রাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার ৪জুলাই রাতে আত্রাই- সিংড়ার সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়কের শিকারপুর এলাকায় গুড় নদীর বাঁধ কাম পাকা সড়ক ধ্বসে যায়। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন শুক্রবার ধ্বসে যাওয়া স্থানটি মেরামত করে। এরপর শুক্রবার রাতে ঐ ভাঙ্গনের প্রায় এক কিলোমিটার পূর্বদিকে বৈঠাখালির ডুবাই নামক স্চুইচগেট সংলগ্ন স্থানে পাকা সড়ক ধ্বসে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
এছাড়া শনিবার সকালে উপজেলার আত্রাই-বান্দাইখাড়া সড়কের লালুয়া নামকস্থানে বাঁধ কাম পাকা সড়ক ধ্বসে যায়। এতে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পরে। এরপর ৯ জুলাই সকালে আত্রাই উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের গুড়নই নামক স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধ্বস দেখা দেয়। এপর্যন্ত ভেঙ্গে যাওয়া সকল স্থান মেরামত করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
নওগাঁ-৬ আসনের সাংসদ অ্যাড. ওমর ফারুক সুমন বলেন, আত্রাই এবং রাণীনগর উপজেলা বিলবেষ্টিত। ফলে ছোট যমুনা কিংবা আত্রাই নদীর বাঁধে ভাঙ্গন হলেই দুই উপজেলা বন্যার কবলে পরে। তাই নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে আমি সার্বক্ষনিক বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন পূর্বক তদারকির মাধ্যমে দুই উপজেলার মানুষের ফসল এবং বাড়িঘরের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি।