মো:সাদ্দাম হোসেন ইকবাল,
ঝিকরগাছা উপজেলা প্রতিনিধি।
যশোরের ঝিকরগাছা বাজারে,
গতকাল রাতে বেগুন খোজ করতে গিয়ে দেখি, ১৬০/১৭০ টাকা বেগুন, তাও ভালো না বেশি, সব দোকানে নেই, অনেক খুজা খুজির পরে কয়েকটি দোকানে দেখা মিললো, আজকে সকাল থেকে খোঁজ নিয়ে দেখি ঝিকরগাছা বাজারে বেগুন সরবরাহ খুবি কম, আছে না থাকার মথ, এদিকে কচুর মুখী আকাশ ছোঁয়া দামে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮০টাকা, ভেন্ডি ৭০,
টাকা, কলা ৬০টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ডাটা ২৫টাকা,উস্তে ১২০টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০টাকা,ঝিঙে ৪০টাকা, কচুর লতি ৫০টাকা, কাকরল ৮০ টাকা, পুশি ৬০ টাকা, পটল ২০ টাকা, পুইশাক ২০ টাকা, লাউ প্রতিপিচ ৬০ টাকা, ওল ১৫০/১৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচের ঝাঁজ অসহ্য, বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি খুচরা বাজারে ২৬০/২৮০ টাকা।
শাক খাবে সেটাও এখন আর সম্ভব না, লাল শাক ২০ টাক, সবুজ শাক ২০ টাকা,কলমি শাক ১৫ টাকা,
বাদ যাইনি, পিঁয়াজ এর দাম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০টাকা, বসুন ২৪০টাকা,আদা ৩০০টাকা, শুকনো ঝাল ৫০০টাকা, আলু ৬০ টাকা।
এদিকে আড়তদার দের সাথে কথা বললে ওনারা জানায়, সরবরাহ খুবি কম, এর জন্য বাজার দিন দিন উর্ধগতি দিকে যাচ্ছে, কবে স্বাভাবিক হবে বা দাম কমবে এটা বলা মুশকিল হয়ে গেছে, এদিকে আড়তদার রা আরো জানায় আগে যে হারে মান বিক্রি করতাম সেই হারে মাল নেই, দোকান খরচ তোলা কষ্ট কর হয়ে পরেছে, খুচরা বাজারে দোকান দার রা বলচে এত দামের তরকারি আগে যারা পাঁচ শো থেকে এক কেজি ক্রায় করতো, তারা এখন ২৫০/৫০০ গ্রাম করে কিনতেছে, তা ছাড়া সবাই অনেক দরদাম করছে, আগে এমন করে দরদাম করতো না,
আমরা দোকান দারি করে আমাদের সংসার চালানো বড় কষ্ট হয়ে পরছে,
হটাৎ করে দেখা হলো তরকারি কিনতে আসা আমার খুব পরিচিত এক জন বড় ভাই এর সাথে, জিগাসা করলাম কেমন আছেন, তিনি জানায়, তরকারি কিনতে এসে মাথা ঠান্ডা রাখা খুব কষ্ট হয়ে গেছে, এক সময় মনে হত আমি মধ্যবিত্ত
এখন বাজারে গেলে বুঝি আমি মধ্যবিত্ত নয় আমি গরিব এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত।
চারিদিকে হতাশা জীবন যাপন করচি
আয় করি দুই টাকা আর ব্যায় এর হিসাব লম্বা।
কোথায় যাবে এই অসহায় জনগন,
বাজারে গেলে মাথা ঠিক থাকে না।
হিমসিম খাচ্ছি সংসার চালাতে।