আবুল হোসেন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে, ছাত্র জনতার গণঅভ্যরথনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাচোল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিনি কনফারেন্স রুমে, নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নীলুফা সরকার এর সভাপতিত্বে ও নাচোল পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ এর সঞ্চালনায়,স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দদের মধ্য থেকে,শহীদদের স্মরণে বক্তব্য রাখেন, নাচোল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও মোঃ বাইদুর রহমান,নেজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান, মোঃ আমিনুল হক, নাচোল সদর ইউপি চেয়ারম্যান, মোঃ শফিকুল ইসলাম, নাচোল সরকারি কলেজের সহকারী প্রভাসক, মোঃ শফিকুল আলম, কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম, নাচোল খ,ম, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মোঃ নজরুল ইসলাম, নেজামপুর আলিম মাদ্রাসর অধ্যক্ষ, মোঃ মাহাবুবুর রহমান, সাংবাদিক, মোঃ জিলানী ও মোঃ আবুল হোসেন। সে সময় এই অনুষ্ঠানটির সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,নাচোল উপজেলায় একজন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহত ছাত্র,মো: মেহেদী হাসানের, পিতা, মো: আব্দুস কুদ্দুস ও বোন মোসা: সালমা খাতুন,মেহেদী হাসানের পিতা জানান, আমার ছেলে,সাউথইস্ট ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট টেকনোলজি মিরপুর-১৩, ঢাকায় লেখাপড়া করতেন এবং এক পর্যায়ে আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে, আমি সহ আমার পরিবারের সকলেই ওর জন্য কান্নাকাটি করতে থাকি, আর আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম, আল্লাহ আমার ছেলেকে তুমি সহিসালামতে রাখিয়েন। এক পর্যায়ে ছেলের কথা বলতে বলতে চোখে জল চলে আসে তারপরে তিনি আর কোন কথা বলতে পারছিলেন না। তিনি আরো জানান আমার ছেলে,আহত হওয়ার স্থান,মিরপুর-১০ গোলচত্ত্বর
আঘাতের স্থান, ডানপায়ের হাঁটুর ওপরে গুলি করা হয়, তিনি তিনার ছেলের জন্য সকলের কাছে দোয়া চান এবং তিনার ছেলে যেন সুস্থভাবে বেঁচে থাকেন দেশের জন্য কিছু করতে পারেন ও সরকারের কাছে আবেদন রাখেন, যে আমার ছেলেকে একটি সরকারি চাকুরী দেওয়া হয়, অনুষ্ঠানটির শেষ অংশে, আহত ছাত্র, মেহেদী হাসানের পিতার হাতে কিছু, উপহার সামগ্রী তুলে দেন, প্রধান অতিথি সহ বিশেষ অতিথি বৃন্দরা।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ইমাম, সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।