এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-
সারাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ৫ই আগস্ট দিনাজপুরের বিরামপুরে উপজেলা
। বিরামপুর পৌর শহরের ঢাকা মোড় গোল চত্তরে সাবেক এমপি শিবলী সাদিকের নির্দেশ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগের এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিরস্ত্র ছাত্র জনতার উপর শার্ট গানে গুলি ছোড়েন । সেই গুলিতে বিরামপুর উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্রনেতা বাদশা মো: নাজ্জাশী সহ ৪ জন ছাত্রনেতা গুলিবিদ্ধ হয়। শত শত ছাত্র জনতা গুরুতা আহত হয়। ছাত্র-জনতার মিছিল পন্ড করার লক্ষ্যেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সে সময় ৪-টি মোটরসাইকেল ৫ ইজিবাইক পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। বহু দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করেন। আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনীর হামলায় ছাত্র-জনতা বহু গুরুত্ব আহত হয়। লুটপাট চালানো হয় বিভিন্ন দোকানপাটে (প্রায়) ৩২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। গত সোমবার (৯ আগস্ট) বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের আব্দুস সামাদ মন্ডলের ছেলে গোলাপ হোসেন( ৪৭) বাদী হয়ে দিনাজপুর-৬ সাবেক এমপি শিবলী সাদিক,বিরামপুর পৌরসভা সাবেক পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খাইরুল আলম রাজু,সাবেক পৌর মেয়র লিয়াকত আলী সরকার টুটুল, কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস আলী,দিওড় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল,খানপুর ইউপি চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন পাহান, পলিপ্রায়গ পুর ইউপি চেয়ারম্যান রহমত আলী,সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেজবাউল ইসলাম মিসবা, যুবলীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল,সাবেক সাধারণ সম্পাদক বকুল হোসেন,সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী,সহ নামিয়া আওয়ামী লীগের ১৩৩ জন নেতাকর্মী সহ অজ্ঞতা আরো ৫/৬ শ জনের বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় প্যানেল কোড ১৮৬০ বেআইনি জনতার দলবদ্ধ হইয়া দাঙ্গা সৃষ্টি করিয়া প্রতিরোধ করত মারপিট গুরুতর জখম হত্যার চেষ্টা ছাত্র জনতার উপর গুলি বর্ষণ,ক্ষতিসাধন,অগ্নিসংযোগ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ একটি দায়ের করেন। যার মামলা নং ৪ তারিখ ৯/৯/ ২০২৪ইং। এ ব্যাপারে বিরামপুর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার প্রতিবেদক কে জানান,গোলাপ হোসেন বাদী হয়ে সাবেক এমপি সাদিকসহ ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।