Sunday, December 22, 2024
বাড়িঅন্যান্যভূরুঙ্গামারীতে আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

ভূরুঙ্গামারীতে আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

মোঃ কামরুল হাসান কাজল কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ


কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আমন ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। উপজেলায় শুরু হয়েছে আমন ধান রোপণের মৌসুম। গ্রাম বাংলার চিরচেনা দৃশ্যের মতো এখানেও মাঠজুড়ে দেখা যাচ্ছে কৃষকদের কর্ম ব্যস্ততা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখন কৃষকরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমন ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আমন চারা রোপণের পূর্ণাঙ্গ বয়স হওয়ায় ধান চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে আমন চারা রোপণের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন তারা। আমনের জমি তৈরি করতে সেচ দেয়া, হালচাষ, আইল বাধা ও আইলের সাইড কেটে জমিকে আমন চাষের উপযোগী করছেন।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, এই বছর বৃষ্টিপাত ও সেচের ব্যবস্থা ভালো থাকায় আমন ধান রোপণে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। আমরা আশা করছি। এ মৌসুমে ফলন ভালো হবে এবং আমরা লাভবান হব।

অন্যান্য কৃষকরাও একই ধরনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তারা বলছেন, আমন ধানের ফলন ভালো হলে তাদের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়বে এবং ঋণের বোঝা কমবে।

কৃষকরা আরো জানান, বন্যার পানি নেমে যেতেই আমরা আমন চাষের প্রস্তুতি শুরু করেছি। তীব্র রোদ ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে কৃষকরা সকাল-সন্ধ্যা মাঠে কাজ করছেন।

উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন্যার পানি থাকায় উঁচু জমিতে এক মাস আগে আমন ধান বীজ তলায় ছিটানো হয়। নির্দিষ্ট সময়ে সেই চারা তুলে পুনরায় অন্য জমিতে রোপণ করা হয়। সেই চারা আমনের জমিতে রোপণ করা হয়। এখন সারাদিন আমন চাষের জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপজেলার ৩ং তিলাই ইউনিয়নের কৃষক স্বপন মিয়া জানান, আমরা এবার ২-৩ বিঘা জমিতে আমন চাষ করবো। চারা প্রস্তুত করা আছে। জমিতে পানি কম থাকায় চারা রোপণে দেরি হচ্ছে। ভারী বৃষ্টি না হলে সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করে চারা রোপণ শুরু করবো।

কৃষকরা আরো জানান, জমিতে বিঘা প্রতি চারা রোপণে দিনমুজুর খরচ ২০০০ টাকা, হালচাষ ১২০০ টাকা, সেচ, সার, বীজতলা তৈরি মিলে বিঘা প্রতি প্রায় ৫-৬ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘায় ১৫-১৬ মন ধান পাওয়া যায়, তাতে চাষের খরচ বাদে কিছু লাভ থাকে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৮৫৫হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল জব্বার বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার স্বল্পমেয়াদী আমন ধান বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ৪শ ২৫ হেক্টর জমিতে আমন চারা রোপণ করা শেষ হয়েছে। মাঠে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন আছেন তারা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

সম্পরকিত খবর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -
Google search engine

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সর্বশেষ মতামত