মোঃ মোশারফ হোসেন রূপসা প্রতিনিধি
রুপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নে বসবাস রত নুরনাহার , পিতা মোতালেব খাঁন তার একমাত্র মেয়ের চৈতি গত ২৪ জুলাই বুধবার আনুমানিক চারটা ত্রিশ মিনিটের সময় নিজ বাড়িতে ঝুলন্ত ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
জানা যায় চৈতি নৈহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়ালেখা করত। ঐ স্কুলের শিক্ষক এস এম মাহবুবুর রহমান, পিতাঃ আব্দুল জলিল মোল্লা। সে নৈহাটি ইউনিয়নের গোডাউন মোড় আবুলের বাড়ি ভাড়া থাকতেন। সে বিবাহিত এবং তার স্ত্রী সন্তান সম্ভাবা। এত কিছুর পরও সে নৈহাটি স্কুলে পড়া কিশোরী মেয়ে চৈতিকে প্রেমের অফার দেয় এবং আস্তে আস্তে একটা সময় তাদের ভিতর গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সেই সম্পর্কের জের ধরে ঘাতক মাহবুবুর রহমান তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
একটা সময় চৈতি মাহাবুব কে বিবাহ করার কথা বললে সে করবে না বলে জানায়।
তখন নাবালিকা কিশোরী মেয়ে কোন উপায়ান্ত না পেয়ে নিজ বাড়িতে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরবর্তীতে পুলিশ এসে ২৪ শে জুলাই লাশ মর্গে পাঠায় এবং ২৫ শে জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
ওই দিনই চৈতির মা ওমান থেকে বাড়িতে আসার পরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
এরকম একজন নরপিচাশ স্কুল টিচারের ভোগের শিকার হয়ে কিশোরী মেয়েটি আত্মহত্যা করায় নৈহাটি এলাকার মাস্টারপাড়ায় এখনো শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
পরে নিহতের মা বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল ২ খুলনায় মাহবুবুর রহমান সহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।